মাগুরা প্রতিনিধি : বখাটে স্টাইলে চুল না কাটার বিষয়ে হেয়ার কাটিং সেন্টার তথা সেলুন মালিক ও কর্মিদের সচেতন করতে প্রচারনায় নেমেছে মাগুরা পুলিশ। গত দু’দিন শহরে এ বিষয়ে ব্যাপক মাইকিং হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। যেখানে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সেলুন মালিকদের জানানো হচ্ছে, কোন সেলুনকর্মী কারো চুল কিম্বা দাড়ি যেন বখাটে স্টাইলে না কাটেন।

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, মাগুরা পুলিশ সুপার খান মহাম্মদ রেজোয়ানের নির্দেশে স্থানীয় সেলুন মালিক ও কর্মীদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠকের পাশাপাশি মাইকিংয়ের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। এটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবকদের সংযত আচরণ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করা।

সম্প্রতি মাগুরায় কিশোর ও উঠতি বয়সের যুবকদের হাতে খুনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। যেটির পেছনে তাদের অস্বাভাবিক জীবন যাপন ও আচরনের যোগসুত্র পেয়েছে পুলিশ। এ কারণে এ শ্রেনীর নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে এ প্রচারনা চালানো হচ্ছে।

ওসি বলেন, ‘মানুষের লাইফ স্টাইলের সাথে তার আচরনের নানা যোগসুত্র রয়েছে। কেউ যদি উদ্ভট পোশাক পরে, উদ্ভট স্টাইলে চুল কাটে। যা দৃষ্টিকটু ও অস্বাভাবিক। সেটি তার জীবন যাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই ফেলবে। এ কারনে এটি প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সবার আগে জরুরী সচেতনতাট। সে কাজটিই আমরা করছি’।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা বাজারের একটি হেয়ার কাটিং দোকানের মালিক নরসুন্দর রমেশ বিশ্বাস বলেন,‘ এক শ্রেণীর উঠতি বয়েসী যুবক আছে যারা তাদের নিজস্ব স্টাইলে চুল কাটে। এ ধরনের স্টাইলে গোটা চুলে কোন সামঞ্জস্য থাকে না। দুই কানের উপরিভাগে চুল থাকে থাকে না বললেই চলে। অন্যদিকে যত উপরিভাগে যাওয়া যাবে চুল ততবেশী বড় রাখা হয়। এই শ্রেণীর যুবকেরা এমনভাবে চুল কাটে যেন মটর সাইকেল চালানোর সময় মাথার উপরিভাগের চুলগুলো বাতাসে দোল খায়।

পুলিশ সম্ভবত সামঞ্জস্যহীনভাবে কাটা বিভিন্ন স্টাইলের এই চুল কাটাকেই বখাটে কাটিং বুঝিয়েছে। দাড়ির ক্ষেত্রে একই ধরনের নিজস্ব কিছু স্টাইল আছে। যা এসব যুবকেরা বিভিন্ন সিনেমা, নাটক, মিউজিক ভিডিও কিম্বা অন্য কোন মাধ্যমে নায়ক, মডেলিং পারসনদের দেখে অনুকরন করে। কিন্তু আমরা যারা হেয়ার কাটিং কর্মি তারা অধিকাংশই সংখ্যালঘু শ্রেণীর।

এসব যুবকেদের দেখিয়ে দেয়া স্টাইলে চুল কাটায় নিষেধ করা নিয়ে শেষে সমস্যায় না পড়ি সেদিকে পুলিশের খেয়াল রাখা উচিত। এটি নিয়ে আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কারণ বিশেষ করে ঈদে এইসব স্টাইলে চুল কাটার বিষয়ে এসব উঠতি বয়েসী যুবকদের ঝোঁক সবচেয়ে বেশী থাকে’।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ১০, ২০১৯)