স্টাফ রিপোর্টার : অলিগলিতে পড়ে থাকা কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে নাগরিকদের সহায়তা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এজন্য নাগরিকদেরক একটি হটলাইন নম্বরে ফোন করার পরামর্শও দিয়েছেন। আর সেই হটলাইনটি কাজ করছে কিনা তা জানতে নিজেই কল করেছেন তিনি।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রায় শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মেয়র।

ঈদের পরের দিন বিকেলে নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন সাঈদ খোকন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের দু-একজন দাবি করেন- প্রধান সড়কগুলোর বর্জ্য অপসারণ করা হলেও পুরান ঢাকার অলিগলিতে এখনও বর্জ্য পড়ে রয়েছে। সে বিষয়ে মেয়র হটলাইনে ফোন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নাগরিকদের।

মেয়ের বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পুরান ঢাকা অধ্যুষিত এলাকা। এ এলাকায় যদি কোনো অলিগলিতে কোথাও বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখেন আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আমাদের হটলাইনে ফোন করবেন। আপনার এলাকায়, আপনার পাড়া, আপনার মহল্লায় আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীরা পৌঁছে যাবে এবং বর্জ্য অপসারণ করবে।

দক্ষিণের মেয়র বলেন, আমাদের এলাকায় বড় রাস্তা খুব কম। অলিগলিতে আমাদের কোরবানি হয়, আমরা পরিষ্কার করি।

'আমাদের বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির এ শহরে কোথাও যদি কোনো ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, আমরা আছি আমাদের হটলাইনে ফোন করবেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী চলে যাবে এবং পরিষ্কার করবে।'

মেয়র জানান, আমরা সিটি করপোরেশনের সমস্ত ছুটি বাতিল করে নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী পেলেই আমার এ ত্যাগ স্বার্থক হবে।

হটলাইন কাজ করছে কিনা- এ বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন।

পরে উপস্থিত এক কর্মকর্তা হটলাইনে কল দিয়ে ফোনটি মেয়রের হাতে দেন। এসময় লাউড স্পিকারে কণ্ঠ ভেসে আসে 'কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সেবা পেতে এক চাপুন...'।

এরপর ফোন সরাসরি চলে যায় একজন অপারেটরের কাছে। শুরু হয় কথোপকথন।

'আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কল সেন্টার থেকে তারেক বলছি, কীভাবে সাহায্য করতে পারি?'

'পল্লীমা সংসদ এলাকায় বর্জ্য পড়ে আছে কাইন্ডলি আপনি একটু ব্যবস্থা নিন।'

'আপনার নাম বলবেন?'

'আমার নাম সাঈদ খোকন।'

মেয়র নিজের নাম বলার সময় উপস্থিত সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা হেসে ওঠেন।

'কতক্ষণ সময় লাগবে?'

'জ্বি, আমরা এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

মেয়র সাংবাদিকদের জানান, ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার খোলা থাকবে। আর দ্বিতীয় দিনের বর্জ্য ওইদিন এবং তৃতীয় দিনের বর্জ্যও দিনের মধ্যে অপসারণ করা হবে।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ১৩, ২০১৯)