প্রীতম সাহা


বাংলার আকাশ শত্রুমুক্ত হল যার হাত ধরি
স্বাধীন দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে স্মরি,
এদেশের যত হাট-মাঠ-ঘাট আর নদ-নদী বহমান
সব কিছুতেই মিশে আছো তুমি শেখ মুজিবুর রহমান।

শত্রুর সাথে আপোষ করোনি, দিয়েছো তাদের যুক্তি
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে তাইতো মোদের মুক্তি;
বাঙালিকে দিতে স্বাধীনতা ছিলে চৌদ্দ বছর বন্দি
তবুও কখনো মাথা নোয়াওনি করোনিকো কোন সন্ধি।
ব্রিটিশ তাড়াতে শতাব্দী জুড়ে প্রাণ দিলো কত তরুণ
সেই তরুণের রক্তেই রাঙা হয়ে এলো নব অরুণ,
তাড়িয়ে ব্রিটিশ হলো না স্বাধীন, দেশ পাকিদের হাতে
পাকসেনাদের অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে;
ভাষা থেকে শুরু, মা-মাটি-মেয়ে কি চাইনা ওদের
সেনাদের থাকে হাঁটুতে বুদ্ধি অভাব মূল্যবোধের,
পাক হায়েনার অত্যাচারে দেশ যবে দিশেহারা
জাতির জীবনে এনে দিলে তুমি মুক্তির নবধারা।
ছয় দফা দিলে আরো বলে দিলে, 'ভাইয়েরা আমার শোন,
শত্রুকে মোরা রুখবো এবার আপোষ হবে না কোন।’
তোমার কথায় এক হলো জাতি ঝাঁপিয়ে পড়লো যুদ্ধে
মুক্তির লাগি ঢেলে দিল প্রাণ আবাল-বনিতা-বৃদ্ধে
নির্মমতা-নিষ্ঠুরতা আর হায়েনাদের অন্যায়
ধুয়ে মুছে গেল ত্রিশ লক্ষ তাজা রক্তের বন্যায়;
নয় মাস শেষে ইতিহাস হেসে বাংলাকে দিলো মুক্তি
তুমি ‘বঙ্গবন্ধু’, জাতির পিতা, তুমি বাঙালির শক্তি;
মা-বোনের মানে, শহীদের আত্মদানে মুক্তিযুদ্ধের শেষ
তোমারই দেয়া নাম ঠিকানা পেলাম স্বাধীন ‘বাংলাদেশ’।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি রাজনীতির কবি
এদেশের প্রতি মানুষের বুকে আঁকা আছে যাঁর ছবি,
বাঙালি তো কভু হয় না বাঙালি সতেরোই মার্চ ছাড়া
বাংলার ইতিহাস অপূর্ণ আজ না বললে টুঙ্গিপাড়া;
আগস্ট পনের কালো অধ্যায় মহাকলঙ্কের দিন
‘সোনার বাংলা’ গড়বই মোরা, শুধিব তোমার ঋণ।।

লেখক : সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, যশোর।
ইমেইল : [email protected]