বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় দুরপাল্লার সকল যাত্রী পরিবহন যাতায়তের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাগেরহাট জেলা বাস মালিক সমিতি। বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

গত ২৩ জুলাই মোরেলগঞ্জের দোনা নামক স্থানে দুটি মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মটরসাইকেল চালক মিরাজ(২২) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। মটর সাইকেলের যাত্রী হোসেন মাহমুদ খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য মোরেলগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী দুবাই পরিবহনের গাড়ীর চালককে দায়ী করে গাড়িটি ভাংচুর করে স্থানীয় জনতা। এতে পরিবহনটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ পরিবহনের চালক আলীম হাওলাদার(৩০) ও সুপারভাইজার লিখন(২৫)কে গ্রেফতার করেছে। একই সাথে পুলিশ পরিবহনটি এবং মুখোমুখি সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্থ মটর সাইকেল দুটিও আটক করেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং গাড়ির ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম গামী ১০টি কোম্পানীর নিয়মিত ২০টি এবং ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত আরো ১৫টি পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একই সাথে সরাসরি খুলনাগামী বিআরটিসি পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

ঈদের একদিন পরেই বাস মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে মোরেলগঞ্জ শরণখোলার কয়েকহাজার কর্মজীবী মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। যথাসময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়ে তারা এখন শংকিত। মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা থেকে অতিরিক্ত খরচে লোকাল বাসে করে ২ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে বাগেরহাট বা সাইনবোর্ডে পৌঁছে এমন প্রায় ২হাজার যাত্রীকে পরিবহনে উঠতে হবে। আগামি ৭আগষ্ট পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রামগামী ১০টি কম্পনীর ৪৫টি পরিবহনে প্রায় ২০হাজার যাত্রী অগ্রিম টিকিট কিনেছেন বলে কাউন্টার ম্যানেজারগণ জানিয়েছেন।

(একে/জেএ/জুলাই ৩১, ২০১৪)