স্টাফ রিপোর্টার: ফুলবাড়িয়ার একটি সড়কের দেয়াল লাগোয়া বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের প্রধান কার্যালয়। আরেক পাশে ফুলবাড়িয়া ২ নম্বর মার্কেট। মাঝে একটি সরু সড়ক। যার ওপরে ময়লার ভাগাড়। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না হলেও অস্থায়ীভাবে আশপাশের ময়লা এনে ‘ডাম্পিং’ করা হয়। সেখানে জমে থাকা পানিতে মশার রাজ্য। আর এই সড়ক থেকে কয়েক গজ এগিয়ে বিপরীতে আছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার এবং তার সঙ্গেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভবন।

ডাম্পিংয়ের এই ময়লা ফেলছে স্বয়ং ডিএসসিসিই। রাজধানীর দুই সিটিতেই ময়লা ফেলার জন্য এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের ময়লা এনে এসটিএসগুলোতেই সিটি করপোরেশন ময়লা ফেলে। তবে বঙ্গবাজার থেকে ফুলবাড়িয়ার দিকে যেতে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক থেকে ডান দিকে যেতে একটি সরু সড়কে কোনো এসটিএস নেই। ফায়ার সার্ভিসের দেয়াল ঘেঁষা স্থানে সড়কের ওপরেই বছরের পর বছর ডিএসসিসি ময়লা ফেলে যাচ্ছে।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পেছনে ফুলবাড়িয়ার একটি সড়কের অর্ধেক দখল করে ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পেছনে ফুলবাড়িয়ার একটি সড়কের অর্ধেক দখল করে ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের পরিত্যক্ত ট্রাক পড়ে আছে। সেটা ভর্তি ময়লা এবং চারদিকে ছড়ানো ছিটানো। এক পাশে একটি গাড়িসহ ঘোড়া বাঁধা। ওই সড়কটির অর্ধেক দখল হয়ে আছে ময়লায়। চারদিকে দুর্গন্ধে টেকা দায়। তার মধ্যে অসংখ্য মশা উড়ছে। জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে। আর সেই পানিতে প্রচুর মশা।

জামাল আকন নামের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘ময়লা তো এখন কম। ঈদের ছুটিতে যাওয়া লোক এখনো সব ফেলে নাই। ময়লা ওই দেয়াল (ফায়ার সার্ভিসের দেয়াল) সমান হয়ে যায়। একটা রিকশা গেলে অন্য গাড়ির দাঁড়ায়ে থাকতে হয়। বৃষ্টি হলে তো কথাই নাই। পুরো জায়গা ময়লায় কাদা হয়ে যায়। তখন হাঁটা সম্ভব হয় না।’ আরেক নিরাপত্তাকর্মী জানান, দিনে-রাতে সব সময়ই মশার উৎপাত থাকে এখানে।

ময়লার মধ্যে জমে থাকা পানিতে প্রচুর মশা। ময়লার মধ্যে জমে থাকা পানিতে প্রচুর মশা। সড়কটির সঙ্গেই রয়েছে রোজলিন ভিস্তা অ্যাপার্টমেন্ট। এ ভবনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘অনেকবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি।’ তিনি জানান তাঁদের ভবনের বেশ কয়েকজন এ পর্যন্ত মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভবনের আরেক বাসিন্দা জানান, মশা নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। জায়গাটি থেকে ময়লা সরিয়ে ফেলতে তাঁরা আবারও সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে যাবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নিজেই এখানে মশার উৎপাদন করছে। এটা কে দেখবে? এ বিষয়ে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর সমির বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে ময়লা ফেলার জন্য কোনো স্থান নেই। তাই সেখানে ময়লা ফেলা হয়।

ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন জানান, তিনি নিজেই সেখানে গিয়ে দেখে আসবেন। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ২৩, ২০১৯)