স্টাফ রির্পোটার , ঢাকা : রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ছাদ থেকে পড়ে রোববার সোয়া ৭টার দিকে ‘সাপ্তাহিক অপরাধ দমন’ নামের পত্রিকার সাংবাদিক শাহআলম ওরফে সাগর থানার ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার ছাদে যাওয়া থেকে শুরু করে সেখান থেকে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলছেনা পুলিশ।

এদিকে তার বন্ধুরা এ মৃত্যু ঘটনাকে হত্যা বলে দাবি করেছে।এদিকে সাংবাদিক সাগর, নজরুল মিস্ত্রি, অধ্যক্ষ বশির উদ্দীনসহ তার কয়েক সহযোগী নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় থানায় আসেন। থানায় প্রবেশের মুহূর্তে বশির কয়েকজন সহযোগী মিলে সাংবাদিক সাগরকে চড় থাপ্পড় মারেন। পরে তারা থানার দু’তালায় গিয়ে সাগরের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। এ সময় থানার এসআই মামুন সাংবাদিককে থানা থেকে চলে যেতে বলে। এমন সময় সাগর থানার সিঁড়ি দিয়ে ছাদে চলে যান। তার পেছনে পেছনে অধ্যক্ষের এক সহযোগীও যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাগর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে। এক পর্যায়ে থানার বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশে ছাদ থেকে পড়ে যায়। এতে করে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। ছাদে উঠার পর অধ্যক্ষের সহযোগী তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, না সে নিজেই লাফ দিয়েছে বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশও এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলছে না। নিহতের এক বন্ধু রাসেল বলেন, অধ্যক্ষের লোকজনই তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। এখানে এমন কোনো বিষয় নেই যে সাগর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। সুতরাং বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই পরিষ্কার। তবে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করছে। ঘটনার পর পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান, যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান ও উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার নিসারুল আরিফ থানায় আসেন। তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার সময় থানায় থাকা ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি থানায় থাকলেও রুমে ছিলাম। বাইরে কি হয়েছে বলতে পারবোনা। তবে মৃত্যুর পর আমি জানতে পারি। তিনি বলেন, অধ্যক্ষ বশির উদ্দীনসহ চারজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত না করে কিছুই বলা যাবেনা। যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখানে পুলিশের কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার নিসারুল আরিফ জানান, থানার বিল্ডিংটি ভাড়া করা। আশ পাশে কোনো বাউন্ডারিও নেই। থানার বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি দিয়ে উঠলে বোঝার উপায় নেই কে যাচ্ছে। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৩, ২০১৪)