মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিক থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৮৩ রাউন্ড গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।

এ ঘটনায় শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নানকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতদের মধ্যে পুলিশের নায়েক সবুর হোসেন, কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম, তৈহিদুর রহমান ও আনসার সিপাহী সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ কর্মী আখেরুজ্জামান, তার স্ত্রী মাজেদা বেগম, জুলফিকার, মনিরুল, বিশে, আশরাফুল ইসলাম, মুন্সি জাহাঙ্গীর হোসেন, ওহিদুল মুন্সী, সোহেল, সরিফুল, জাফর, জামান, ও টুকুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া, আহত তপু মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ওসি শাহ আওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় আশরাফ হোসেন জানান, শ্রীপুর উপজেলা সদরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের সঙ্গে আব্দুল হান্নানের সমর্থকদের বিরোধ চলছিল।

বুধবার রাতে আব্দুল হান্নানের কয়েকজন সমর্থক মশিউর রহমানের সমর্থক টিপু মিয়াকে কুপিয়ে আহত করে। পাল্টা হামলায় মশিউরের সমর্থকরা হান্নানের সমর্থক ওহিদুল মুন্সিকে কুপিয়ে আহত করে।

দুই ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানা পুলিশ ৮৩ রাউন্ড গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওসি শাহ আওলাদ হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় মাগুরার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ও সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের নেতা শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হান্নানকে পুলিশ আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ৩১, ২০১৪)