স্টাফ রিপোর্টার: খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সার্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবা দিতে তিন মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ জন্য কোনো প্রকার অজুহাত ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় অর্থের বাজেট বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৫২ পণ্য নিয়ে করা রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ (মঙ্গলবার) রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম এবং ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এমআর হাসান।

এর আগে হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে জানতে তলব করা হলে হাইকোর্টে হাজির হন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুন।

আদালতে হটলাইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফসান জানি সামি। বিশেষজ্ঞ মতামতে তিনি বলেন, বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে খরচার ভিত্তিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করা যেতে পারে। যেখানে তিন শিফটে ১০টি আসনে প্রতিদিন ৩০ জন কাজ করতে পারবে।

এরপর আদালত শামীম আল মামুনের কাছে বাজেটের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘কমিটির আলোচনায় আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টি আসে নাই।’ তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিষয়টি আপনাদের নজরে কেন আসেনি? আগে বলেছেন, আপনাদের লোকবল কম। তাহলে আপনারা কিভাবে এটি স্থাপন করবেন।’

এ সময় শামীম আল মামুন ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘আপনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থাপন করব।’ পরে আদালত বলেন, আউটসোর্সিংয়ে করতে কত দিন লাগবে? জবাবে তিনি বলেন, বাজেট পাওয়ার পর তিন মাস লাগবে। এরপর আদালত আদেশ দেন।

গত ২০ আগস্ট তাকে হটলাইনে স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন। গত ১৬ জুন এক আদেশের পর অধিদফতর ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। ৪ জুলাই করা এ কমিটিতে পরিচালক শামীম আল মামুনকে সভাপতি করা হয়। এরপর ১৪ জুলাই অধিদফতরের মহাপরিচালক (তৎকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) মো. হারুন-উজ-জামান ভূঁইয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে হটলাইন স্থাপনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের অনুকূলে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদান বিষয়ে একটি চিঠি দেন।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ২৭, ২০১৯)