স্টাফ রিপোর্টার : একটি দেশের শিক্ষা খাতে মোট জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। যা ২০০০ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সম্মতিতে স্বাক্ষর হয় ‘ডাকার ঘোষণা’।

কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জাতীয় আয়ের ২ শতাংশের সামান্য বেশি, অর্থাত্ বাজেটের ১১ শতাংশের কাছাকাছি। যা আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশের চেয়েও কম।

জানা যায়, আফ্রিকার তানজানিয়ায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়া হয় মোট বাজেটের ২৬ শতাংশ। আর লেসোথোয় এ বরাদ্দ ২৪ শতাংশ, বুরুন্ডিতে ২২, টোগোয় ১৭ ও উগান্ডায় ১৬ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছর বাংলাদেশে মোট বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয় শিক্ষা খাতে। ২০০৭-০৮ অর্থবছর এ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অথচ মোট জাতীয় আয়ের হিসাবে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকায় কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার শিক্ষায় আলাদাভাবে বরাদ্দ দেয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চলতি অর্থবছর জাতীয় বাজেটের সাড়ে ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেয় শিক্ষা খাতে।

এদিকে দেশে শিক্ষা খাতে বাজেটের মাত্র ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হলেও এর বড় অংশ চলে যায় অনুন্নয়ন খাতে। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শিক্ষায় মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ২৫ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা শিক্ষার উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়, যা বাজেটের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বাকি অংশ বরাদ্দ দেয়া হয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা খাতেই।

২০১২-১৩ অর্থবছর শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আর ২০১১-১২ অর্থবছর শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৭, ২০১৪)