স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করার স্বপ্নই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেরণা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে যে কয়টা দেশ ৫-জি যুগে পা দেবে তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে থাকবে। আমরা ৫-জি কথা বলার জন্য ব্যবহার করব না। আমরা ৫-জি ব্যবহার করব কৃষিতে আইওটি ব্যবহার করার জন্য, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার জন্য। আমরা ৫-জি ব্যবহার করব শিক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য। তার মানে প্রযুক্তিকে আমি বাছাই করে যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেখানে কাজে লাগাব।’

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি আমার জন্য আশীর্বাদ যদি আমি প্রযুক্তিকে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারি। আর প্রযুক্তি আমার জন্য অভিশাপ যদি প্রযুক্তি আমাকে ঘিরে ফেলে। আমার যে জায়গাটাই পরিবর্তন করা করা দরকার সেটি হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার মন্ত্রিত্বের ২০ মাস বয়সে সবচেয়ে বেশি যে তদবির করতে হয়েছে তা হলো চাকরির তদবির। গত কয়েকদিন আগে টেলিটকের মাধ্যমে একটা দরখাস্ত নিলাম, যেখানে এনএসআইয়ে ১৩৭৬টি পোস্টের বিপরীতে চাকরির দরখাস্ত পড়েছে ৯ লাখ ৩৪ হাজার। এবং বিটিআরসির একটা পোস্ট মাত্র, সেখানে দরখাস্ত পড়ছে ১ হাজার। এটি সাধারণ চিত্র। বাংলাদেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মো. রাজি হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন-উস সাকিব, উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর।

(ওএস/এএস/আগস্ট ৩০, ২০১৯)