ঝিনাইদহ ও যশোর প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে ট্রেনের সঙ্গে বরযাত্রাবাহী বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতাল ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

নিহতরা হলেন সুজয়, বিপ্লব, শোভন, সুবীর, কৌশিক, কৃষ্ণা, পর্না ও উজ্জ্বল। প্রাথমিকভাবে অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি।

এদের মধ্যে নয়জন ঘটনাস্থলে ও একজন কালিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাসরিন জাহানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আহত বাসযাত্রীরা জানান, সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ট্রেন সীমান্ত এক্সপ্রেসের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি কালীগঞ্জ উপজেলার শাকো মোথনপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে একই জেলার শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে যাচ্ছিল।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ভোর পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেলস্টেশন পার হচ্ছিল। এ সময় বরযাত্রীবাহী একটি বাস রেললাইন পার হতে গেলে ট্রেনটির সঙ্গে বাসটির সংঘর্ঘ হয়। ট্রেনটি বাসটিকে প্রায় এক কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা দমকল বাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। তারা ঘটনাস্থল থেকে শিশু ও নারীসহ ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আহত প্রায় অর্ধশত বরযাত্রীকে ঝিনাইদহ, কালীগঞ্জ ও যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কালীগঞ্জে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। স্থানীয় শাকো মোথনপুর গ্রাম থেকে বরযাত্রীরা জেলার শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে ফিরছিল।

তিনি আরও জানান, খুলনা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করবে।

কোটচাদপুর সার্কেল এসপি জাহিদুল ইসলাম জানান, দায়িত্বরত গেটম্যানের কর্তব্যে অবহলোর কারণ এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ০১, ২০১৪)