উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ভোমরা বি-ও-পি অবস্থানের ওপর প্রচন্ড গুলিবর্ষণ করে। এই আক্রমণে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি স্বীকার না করেই নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধাদল বাজুবাকায় শত্রু অবস্থানের ওপর অভিযান চালায়। এতে ৩৪ জন রাজাকার নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।

সিলেটে পাকহানাদার বাহিনী কুমারসাইল মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় দুই ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি সড়কে গজারিয়াতে ১১ জন রাজাকার ১০টি রাইফেল ও ২০০ রাউন্ড গুলিসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

মুক্তিবাহিনীর সেকশন কমান্ডার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ জন যোদ্ধার একটি দল ভালুকা থানার ভরাডুবা গ্রামে একদল রাজাকারের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন রাজাকার নিহত হয়।

ডাঃ এ.এম. মালিক গভর্নর ভবনের দরবার কক্ষে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের নতুন গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। শপথ বাক্য পাঠ করান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি বি.এ. সিদ্দিকী। এই অনুষ্ঠানে লেঃ জেঃ এ. কে. নিয়াজীসহ উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি সামরিক ও বেসামরিক অফিসারগণ উপস্থিত হন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯)