রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : আওয়ামীলীগ নেতা নজাংল হত্যাসহ পাঁচ মামলার আসামী কবিরুল ইসলাম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর বাইপাস সড়কের শুকুর আলীর ভাটা এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহত কবিরুলল ইসলাম(৪৫) সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহষ্পতিবার ভোর তিনটার দিকে কুচপুকুর বাইপাস সড়কের শুকুর আলীর ইটভাটার পাশে দু’দল মাদক ব্যবসায়ির বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক মাদক ব্যবসায়ির লাশ পড়ে আছে খবর পেয়ে সকালে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা তাকে মাদক ব্যবসায়ি ও কয়েকটি হত্যা মামলার আসামী বলে সনাক্ত করে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত কবিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম হত্যাসহ পাঁচটি হত্যা ও কয়েকটি মাদক মামলার আসামী। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে।

এদিকে নিহতের বরাত দিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে যশোর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে প্রদিবেদন প্রকাশ হয় যে, গত ২৭ আগষ্ট ঢাকা থেকে কবীরুল ইসলাম ও তার বন্ধু সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের মীর মোদাচ্ছের আলী মধুকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। গত শনিবার কাশেমপুরের দলদলে পাড়ার দিনমজুর শাহাদাৎ হোসেনকে বাড়ির পাশের মাঠ থেকে পুলিশ পরিচয়ে আটক করা হয়। তাদেরকে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মীর মোদাচ্ছের আলী মধুর স্ত্রী রেবা খাতুন ঢাকার একটি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যদিও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম আটকের কথা সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে সদর থানা থেকে মীর মোদাচ্ছের আলী মধুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে নিহতের প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাহার খাতুন জানান, তার স্বামীকে ২৭ আগষ্ট ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার পুলিশ আটক করে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় তাকে খুঁজেও পাননি তারা। বৃহষ্পতিবার সকালে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে বকলে লোকমুখে শুনেছেন।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯)