স্টাফ রিপোর্টার : মাতাসাগর নামে দিনাজপুরের ৪৫ একর খাস জমি খালেদা জিয়ার পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে করা আপিল দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ বিষয়ে নথিপত্র প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে।

তবে আপিলের শুনানি কবে নাগাদ হবে তা নিশ্চিত করেননি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ।

আশির দশকে (১৯৮১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি) মাতাসাগরকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাবা এম এস্কান্দার মজুমদারের আবেদনক্রমে লিজ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় দিনাজপুর লাইভস্টক অ্যান্ড পোলট্রি ফার্ম নামে মুরগির খামার। এর বর্তমান মালিক বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের পরিবার।

‘দিনাজপুর ঐতিহ্য ফোরাম’-এর নেতা হাফিজুর রহমান দিঘিটি উদ্ধারে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (আইন) শংকর চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে ওই কমিটি তিন মাস তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম এ ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘মাতাসাগর দিঘির অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে। কোনো ধরনের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে জিয়া পরিবারের সদস্যরা এটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন।’

মাতাসাগরের ইতিহাস

সপ্তদশ শতাব্দীতে এ অঞ্চলের প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন সুখদেব। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে ১৬৭৭ সালে ‘মহারাজা’ উপাধি দেন। মহারাজা সুখদেব প্রজাদের পানির কষ্ট দূর করতে দিঘিটি খনন করে তার মাকে উৎসর্গ করেন। এ জন্য এর নাম হয় মাতাসাগর। একসময় শালবনে ঘেরা ছিল দিঘিটি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯)