মোবাশ্বের আহমেদ, বেরোবি : দীর্ঘ ছয় বছর পর ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে বকেয়া অর্থ রবিবার তাদের ব্যক্তিগত একাউন্টে জমা হয়। ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন পেতে বাকি ৫৩ জন কর্মচারী অনিশ্চয়তায় ভুগছে।

বকেয়াপ্রাপ্ত পাঁচ কর্মকর্তা হলেন, ডক্টর ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সায়েম মো: আহসান হাবীব, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) তৌহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) রফিকুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সেকশন অফিসার(গ্রেড-২) গোলাম নূর ও ইংরেজী বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) ওবায়দুর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) নূর ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের আবেদন করলে রবিবার (৮ আগস্ট’১৯) নিজস্ব একাউন্টে বকেয়া বেতন জমা করা হয়।’ দীর্ঘদিন পরে হলেও কর্মকর্তাদের বকেয়া বেতন প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পাঁচ কর্মকর্তা বকেয়া বেতন পেলেও বাকি ৫৩ জন কর্মচারী বকেয়া পাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে। ৪৪ মাসের বকেয়া বেতনসহ চারদফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।

কর্মচারীদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্যের বরাত দিয়ে জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কর্মকর্তাদের ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে । আন্দোলন প্রত্যাহার করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ করবে।’

তবে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা বর্তমানে চারদফা দাবিতে আন্দোলন করছি। ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন তার মধ্যে একটি। বাকিগুলোর বিষয়ে নিশ্চয়তা না পেলে আন্দোলন থেকে কিভাবে সরে আসি।’

(এম/এসপি/সেপ্টের ০৯, ২০১৯)