পটুয়াখালী (প্রতিনিধি) গলাচিপা : পটুয়াখালীর গলাচিপায় রোপা আমন চাষে শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার ১২ ইউনিয়নের কৃষক। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এই অঞ্চলের কৃষকরা রোপা আমন ধান চাষ করে থাকেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের প্রথম থেকে রোপা আমন ধানের চাষ শুরু হলেও এ বছর মৌসুমের শুরু দিকে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধান চাষের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বীজতলা তৈরী করতে পরেনি এখানকার কৃষকরা। ফলে এবছর রোপা আমন চাষে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের কৃষক।

সরেজমিনে সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ দেখা যায়, দেরি হলেও মাঠ জুড়ে চলছে রোপা আমন ধান রোপানের প্রতিযোগিতা। শতব্যস্ত দেখেও কয়েকজন চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপা আমন ধান চাষ নিয়ে হতাশায় রয়েছেন এই উপজেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের খরচ অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই তাদের লাখমাত্রা অনুযায়ী ধান চাষ করতে পারছেন না।

আষাঢ় মাস শেষ হলেও মেলেনি ভারী বর্ষণের এখন শেষ মুহুর্তে পুরোদমে আমন রোপনে মাঠে নেমেছে কৃষক। দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে কৃষক। দম ফেলার সময় টুকু যেন নেই তাদের । আমন মৌসুম শুরু হলেও বৃষ্টির পানির অভাবে মাঠে নামতে পারেনি শুরুতে।

উপজেলার গোলখলী ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক মোঃ নাসির উদ্দিন প্যাদা প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এবছর চারা সঙ্কট ও সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধানের চাষের খরচ গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। যদি শেষ পয পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে না থাকে তবে এবছর ধান চাষীদের লোকসন গুনতে হবে। বৃষ্টির পানির অভাবে খালে গোনে পানি উঠাইয়া বিচ তলা বানাইছি। আর শেষ মুহুর্তে বর্ষার ভরা মৌসুমে উপজেলার চারদিকে চলছে আমন আবাদের ধূম। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে আমন রোপনের কাজ। দেখা মিলছে দল বেঁধে চারা লাগানোর চিত্র।

উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ হাবিব মৃধা ও মোঃ বেল্লাল বলেন, রোপা আমনের শেষ মুহুর্তে আমরা এখন ব্যস্ত। জমিতে যথেষ্ট পরিমান পানি আছে আর চারা লাগাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ পাচ্ছি ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছর উপজেলায় বেশি লখমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছর শুরুতে বৃষ্টি না থাকার কারনে আমন রোপায় মাঠে নামতে পারেনি কৃষক।

এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসার এম আর সাইফুল্লাহ বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছর উপজেলায় ধান চাষের নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে করি।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯)