বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোংলা বন্দরে অত্যাধুনিক মোবাইল ক্রেনের অপারেশনাল কার্য শুরু হয়েছে। ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ২৬ জুন জার্মানী থেকে আমদানী করা অত্যাধুনিক মোবাইল ক্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভিড়া সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী এম,ভি কোটা-রিয়া জাহাজ থেকে কন্টেইনার খালাসের মধ্যদিয়ে ক্রেনটির কার্যক্রম শুরু হয়। ৪ শত মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই ক্রেনটি দিয়ে ১৪ সারির কন্টেইনার বোঝাই গিয়ারসেলস জাহাজ হ্যান্ডলিং ও সর্বোচ্চ প্রায় ৮৪ টন উত্তোলণ ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই মোবাইল ক্রেনের। 

ক্রেনটি সংযোজনের পর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আফসানা, পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল, সচিব মো. ওহিউদ্দিন চৌধুরী, সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শওকত আলী, যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের উপ প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালক মাহাবুবুর রহমান মিনা ছিলেন।

মোংলা বন্দরের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের উপ-প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালক মাহাবুবুর রহমান মিনা বলেন, ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ২৬ জুন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাইফ পাওয়ার টেক লিঃ অত্যাধুনিক এই মোবাইল ক্রেনটি মোংলা বন্দরে সরবরাহ করে। তিনি আরো বলেন, ৬৪টি চাকাযুক্ত এই ক্রেনটি বন্দর জেটির লোড সহনশীলতার সীমার মধ্যে ৫ থেকে ৯ নম্বর জেটি বরাবর চলাচল করতে পারবে। এটি দিয়ে ৩৬টি কন্টেইনারবাহী জাহাজসহ বার্জ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে বন্দরে ১২ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আয় হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গতিশীল করতে প্রথমবারের মত অত্যাধুনিক এই মোবাইল হারবার ক্রেনটি আমদানী করা হয়েছে। এটি দিয়ে বন্দরে স্প্রেডার অপারেশন, গ্রাব অপারেশন এবং হুক অপারেশন করা হবে। যা আগে মোংলা বন্দরে ছিল না।

পদ্মা সেতু, রামপালের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র ও পানগাঁও’র কন্টেইনার পণ্য হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ৬৮টি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছে। এসব প্রকল্প মাথায় রেখেই বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সাল থেকে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করে। এছাড়া ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালু হলে এ বন্দরের উপর চাপ আরো বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য আরো ৭৫টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

(এসএকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯)