রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : অনৈতিক সম্পর্কের জেরে তালাক হয়ে যাওয়া এক সন্তানের জননী শারমিন নাহার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তালাক হয়ে গেলেও শারমিন নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে মাষ্টার রোলে কর্মরত পাটাকলেঘাটার আতস আলী গাজীর ছেলে মোঃ শাহীন আলী গাজী জানান, শহরের পারকুকরালির রফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিনাহারের সঙ্গে তার ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি ৫০ হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। ২০১৬ সালের ১ মে মরিয়ম আক্তার নামে তাদের এক কন্যা সন্তান হয়। তার চাচাত ভাই জেলা পরিষদে মাষ্টার রোলে কর্মরত কামরুল ইসলামের সঙ্গে শারমিনের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

অভিযোগ পেয়ে তৎকালির প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন গত বছরের ৮ মে কামরুলকে অব্যহতি দেন। এরপর কামরুল ও শারমিন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি কাবিনের উল্লেখিত ৫০ হাজার টাকাসহ নিজের খোরপোষ বাবাদ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে শারমিনের সঙ্গে তার তালাক হয়ে যায়।

পরবর্তীতে জেলা পরিষদের চেয়্যারমানের মাধ্যমে এক শালিসনামায় মেয়ে বাবার কাছে থাকবে ও মা প্রয়োজনে তাকে দেখতে যেতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপরও শারমিন বিভিন্ন কৌশলেমেয়েকে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়ায় শারমিন তার বাবা রফিকুল, ভাই মিলন ইসলাম, মা নাজমাসহ কয়েকজন মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাতেও সুবিধা করতে না পেরে শারমিন বাদি হয়ে গত ২৮ জুলাই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে।

শাহীন গাজী অভিযোগ করে বলেন, যে মায়ের নিজের চরিত্র নেই তার কাছে মেয়ে কিভাবে নিরাপদে থাকবে সেটা আদালতই তাকে বুঝিয়ে দেবে।

তবে শারমিন আক্তার বলেন, আইন অনুযায়ি মেয়ের তিনিই দাবিদার। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে সে যার কাছে থাকতে চাইবে তার কাছে চলে যাবে। অহেতুক তাকে চরিত্রহীন বানিয়ে মেয়ে আটকে রাখা যাবে না।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯)