গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক এতিম গার্মেন্সকর্মী প্রেম করে বিয়ে করেও পাচ্ছে না সংসার। ৩০ আগষ্ট কাজি অফিসে রেজিষ্ট্রমুলে বিয়া সম্পন্ন হয়।

ধাপেরহাট ছোটছত্রগাছা গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের এতিম কন্যা গার্মেন্টসকর্মী শাপলা প্রতারক প্রভাবশালী প্রেমিকের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা।

বিয়ে হলেও পাচ্ছেনা সে স্ত্রীর স্বীকৃতি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে শাপলা গাইবান্ধা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলাটি বর্তমানে সাদুল্লাপুর থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদুল্লাপুর থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত করেছেন।

প্রতারনার স্বীকার শাপলা জানান, বড় ছত্রগাছা গ্রামের আব্দুল হামিদ মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন থেকে আমার সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে।এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হয়। ৩০ জুন গাইবান্ধা কাজী অফিসে ৫ লক্ষ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করে রেজিষ্ট্রিমুলে বিবাহ হয়।

শাপলার পরিবার জানান,বিয়ের পর জয়নাল শাপলাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে এবং শাপলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে। এ কারনে গত কোরবানির ঈদের পরদিন স্ত্রীর দাবি নিয়ে শাপলা তার স্বামী জয়নুলের বাড়ীতে গেলে প্রভাবশালী জয়নালের বাড়ীর লোকজন তাকে অমানুষিক ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এক পর্যায়ে তারা শাপলার নিকট যৌতুক বাবদ ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।

নিরুপায় এতিম শাপলা আইনী সহয়তা পেতে গাইবান্ধা বিজ্ঞ আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৬২/১৯। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাদুল্লাপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি সরেজমিনে তদন্ত করতে এলে শাপলা তার নির্যাতনের কাহিনী বর্ননা করেন।

শাপলা আরও অভিযোগ করেন যে, মামলা দায়েরের পর থেকেই প্রতারক প্রেমিক তাকে বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ও এস,এমএসের মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯)