জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে দুই কন্যাশিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজন ও ডাক্তারের ভিন্নমত নিয়ে তোলপাড় চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিশু দুটির মৃত্যু হলে রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলেন। ডাক্তার বলেছেন, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঝালুরচর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের ৯ দিনের কন্যা সামিয়াকে শ^াসকষ্ট জনিত কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির পর স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শিশু সামিয়া মারা যায়। শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে কোনো ডাক্তার ছিলেন না। নার্সদের ডেকেও পাওয়া যায় নি।

সামিয়ার নানী আজিমা বেগম জানান, তার নাতীকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করলে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেয়া হয়। রাত ৮টার পর শিশুটি ৩ বার হেঁচকি দিলে নার্সদের ডাকেন। ওয়ার্ডে থাকা নার্স অনেকক্ষণ পরে যায়। ততক্ষণে শিশুটি মারা গেছে।

সামিয়ার মৃত্যুর ৫ মিনিট পর মারা যায় একই ওয়ার্ডে ভর্তি ইসলামপুরের গুঠাইল এলাকার কৃষক সোবাহান মিয়ার দুই দিনের কন্যাশিশু। ওই শিশুকে ভর্তি করা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। শিশুটির নানী ফরিদা বেগম জানান, শিশু সামিয়া মারা গেলে তার নাক থেকে অক্সিজেন খুলে সোবাহানের কন্যা শিশুর নাকে লাগানোর পর পরই মারা যায়। এ সময় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক ছিলেন না।

মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই কন্যা শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. তাজুল ইসলাম দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে দুই শিশু মারা গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৫ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ৭০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। দুই শিশুর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। স্যালাইন বা অক্সিজেন দেওয়ার কারনে মারা যাবার কোনো কারণ নেই।

(আরআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯)