স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে নতুন ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে ১৫৬ জনে নেমে এসেছে। প্রায় আড়াই মাস পর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমলো। একই সঙ্গে কমেছে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।

গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ১৫৬ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে নতুন ৩৭১ জনসহ সারাদেশে ৫২৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

গত ২৩ জুলাইয়ের পর এই প্রথম সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫০০ জনের নিচে নামলো। আর এ মৌসুমে গত ২ জুলাই সর্বশেষ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বনিম্ন ১৫৫ জন রোগী ভর্তির তথ্য রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব ও চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম ও সর্বোপরি ব্যাপক গণসচেতনতার ফলে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই কমছে।

তারা বলেন, তবে সে তুলনায় ঢাকার বাইরের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম কমছে। ঢাকাতে এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির মশার কামড়ে আক্রান্ত হলেও ঢাকার বাইরে এডিসের ভিন্ন প্রজাতি অ্যালবোপিকটাস মশার কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন থেকে বছরব্যাপী সারাদেশে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদি সেব্রিনা বলেন, বর্তমানে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই সেখানে ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে অবহিত ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে সাধাারণ মানুষের কী করণীয় সে সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ শনিবার (১৪ সেপেম্বর) পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালে মোট ৮০ হাজারেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্য হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হবে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯)