স্টাফ রিপোর্টার : বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আবারও রাজধানীর মিরপুরের প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে জারা জিন্স নামে একটি গার্মেন্টেস কর্মীরা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভ থেকে সকাল ১০টার দিকে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। অবরোধের কারণে চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে মাজার রোড ও মিরপুর বাংলা কলেজ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মিরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চিড়িয়াখানা রোডের ১৩ ও ১৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম তলা মিলিয়ে জারা জিন্সের কারখানা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে এবং সনি সিনেমা হল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া সুরভী নামে এক কর্মী বলেন, চার মাসের বেতনসহ দুই মাসের ওভারটাইম বকেয়া রয়েছে। এসব পরিশোধ না করেই মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। মালিকের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে না। আমাদের কাজ বন্ধ, বেতনও বকেয়া। বাধ্য হয়েই আমরা সড়কে অবস্থান নিয়েছি।

সুমন নামে আরেক কর্মী বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আমরা গত কোরবানির ঈদেও আন্দোলন করেছি, বাধ্য হয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছিলাম। গত বুধবারও আমরা এ নিয়ে বিজিএমইএর কাছে গিয়েছিলাম। গতকাল শনিবার সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলেও কার্যত কোনো ফল পাইনি। আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।

মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, গার্মেন্টসটি শাহ আলী থানা এলাকায়। কিন্তু তারা মিরপুর থানা এলাকায় এসে সনি সিনেমা হলের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে চারদিকে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শাহ আলী থানাকে বিষয়টি অবগত করেছি। তারা বিজিএমইএর সাথে যোগাযোগ করেছেন, বকেয়া বেতন-ভাতার বিষয়টি সমাধানের জন্য।

শাহ আলী থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, এর আগে ২/৩ বার জারা জিন্স গার্মেন্টসের কর্মীরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিল। তখন মালিকপক্ষের মাধ্যমে আশ্বস্ত করায় অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু তারা কোনো বকেয়া বেতন-ভাতা না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে আবারও সড়কে নেমেছে। আমরা বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। এটা নিয়ে নেগোসিয়েশনের একটা প্রচেষ্টার কথা তারা জানিয়েছেন।

ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের মিরপুর জোনের এডিসি আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ। সড়ক অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ। বন্ধ সড়কে যানবাহনে যাতে কোনো ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা না ঘটে সে জন্য যানবাহন ডাইভারসন করে বিকল্প সড়কে পাঠানো হচ্ছে।

তবে সর্বশেষ দুপুর সোয়া ২ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯)