স্টাফ রিপোর্টার : বস্ত্র দিবস উদযাপন এ খাতের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। রবিবার সচিবালয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ প্রথমবারের মতো সফলভাবে উদযাপন নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে বস্ত্রনীতি-২০১৭ এবং বস্ত্র আইন-২০১৮ প্রণয়ন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি আনুষ্ঠানিক দিবসের উদযাপন এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একইসাথে বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা আয়োজ করা হলে তা এ শিল্প বিকাশে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যাসোসিয়েশনসহ বস্ত্র শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯)