নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়া, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম নগরের ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মো. জয়নাল আবেদীন (৩৫), তার সহযোগী চালক বিজয় দাস (২৬) ও তার বোন সীমা দাস (২৪) ওরফে সুমাইয়া। সীমা দাস চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আয়া। বাকি দুই আসামির নাম তদন্তের স্বার্থে পুলিশ গোপন রেখেছে।

এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন। তিনি বলেন, ‘ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারীসহ তিনজনকে আটকের পর গতকাল সারারাত বিষয়টি নিয়ে কাজ হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমার দায়ের করা মামলায় ওই তিনজনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বাকি দুইজনের নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। ওই দুইজন আটক হলে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়া চক্রটির মূল হোতাদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা করছি।’

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, হাটহাজারী থেকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে আসা রোহিঙ্গা নারী লাকি আক্তারকে শনাক্তের পর জানা যায়, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িত। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে গত তিনদিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ডাবলমুরিং থানার অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সহায়তায় বিজয় দাস ও তার বোন সীমা দাসকেও আটক করা হয়। এ সময় জয়নাল আবেদীনের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯)