স্টাফ রিপোর্টার : দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি এবং বিটিআরসি সব ধরনের বিরোধ থেকে সরে আসবে। সরকারের পাওনা টাকা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা আদায়ে ব্যান্ডউইডথ সীমিত করা এবং প্যাকেজ ও সরঞ্জামের ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় এরপর ৫ সেপ্টেম্বর দুই অপারেটরকে লাইসেন্স (টু-জি ও থ্রি-জি) বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবের সময় ৩০ দিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন থেকেই আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তাদের সাথে আমাদের একটা সমাধানে আসা উচিত। সমাধানটি একটি উইন উইন সিচুয়েশন থেকে হবে। আমরাও হারব না তারাও হারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি যতটুকু হবে, ততটুকু আমরা আদায় করার চেষ্টা করব। তারাও সেটা মেনে নেবে, আমরা এটা বিশ্বাস করি। সেজন্য আমাদের এখানে বসা।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্তটি হচ্ছে, আমরা সকল প্রকার এভিনিউজ (পন্থা) পরিহার করে অ্যাক্রোস দ্য টেবিল, বসব এবং আমরা সেটেল করব। এটা হচ্ছে আমাদের সিদ্ধান্ত।’

পাশে বসা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে দেখিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আমার পাশে আছেন। তার যেটুকু পাওনা একই প্রক্রিয়ায় আমরা যাব। একই প্রক্রিয়ায় সমাধান আমরা খুঁজে বের করব। মনে হয় এটাই বেস্ট পসিবল এভিনিউজ হবে ফর অ্যা পিসফুল সলিউশন। তারা ব্যবসা করবে, আমাদেরকে আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দেবে। আমরা তাদের সাহায্য করব। যেটুকু সাহায্য করা দরকার সেই পরিমাণ সাহায্য পূর্ণাঙ্গভাবে আমরা করব। এটা হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯)