কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নে গণধর্ষণ মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদারকে(৩৭) পিটিয়ে এক হাত ও দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছে আসমীরা। 

গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মহিপুর থানার চাপলি বাজার এলাকায় চাপাতি, হকিস্টিক এবং রড দিয়ে পিটিয়ে ছিদ্দিককে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে বীর দর্পে চলে যায় আসামীরা। রাতেই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাকে বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় মহিপুর থানা পুলিশ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খায়ের (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে । এ সময় হামলায় ব্যবহৃত চাপাতি, ওি ও হকিষ্টিক উদ্ধার করেছে।

আহতের ভাই মো. কবির হাওলাদার জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে গণধর্ষণ মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীরা তার ভাইকে হুমকি প্রদান করে আসছিলো। মামলা তুলে না নেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাপলি বাজারের ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে গণধর্ষণ মামলার আসামী শাকিল, শাহ আলম, মামুন, রবিউলসহ কয়েক যুবক তাকে রড, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে দুটি পা ভেঙ্গে দেয় এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়।

মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানায়, এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল রাতে কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীকে বেঁধে তার সামনে স্ত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন একই এলাকার মৃত মনু মাঝির ছেলে শাহ আলম, মনির হাওলাদারের ছেলে শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আব্দুর রশিদ, শাকিলসহ ১০ থেকে ১২ জন। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল ধর্ষিতার স্বামী ছিদ্দিক বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযাগে দায়ের করেন।

(এম/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯)