স্টাফ রিপোর্টার : শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলার সরবরাহ বাড়লেও রাজধানীর বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজও।

সরকার পেঁয়াজের দাম কমার আশ্বাস দিলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। ২৪ ঘণ্টার বদলে তিনদিন পার হলেও কোনো বাজারেই পেঁয়াজের দাম কমেনি।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

শীতের আগাম সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, টমেটো, করলা, গাজর, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, উসি, ধুন্দুলসহ সব ধরনের সবজি। ছোট আকারের লাউ আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা পিস।

পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। করলা ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা, ঝিঙা, ধুনদল ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা কমেছে কাঁকরোলের দাম। বাজার ভেদে কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি।

তবে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। পেঁপে আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা কেজি। আর মিষ্টি কুমড়ার ফালি পাওয়া যাচ্ছে ১৫-২০ টাকার মধ্যে।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কালাম বলেন, বাজারে আস্তে আস্তে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। টানা বৃষ্টি অথবা বন্যা না হলে শিগগির সবজির দাম কমবে।

এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে গত রোববার থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়।

গত শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে যে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা ছিল, রবিবার তা এক লাফে ৭৫-৮০ টাকা হয়ে যায়। পেঁয়াজের এমন দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অবস্থা বাংলাদেশ (টিসিবি)।

খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির পাশাপাশি মঙ্গলবার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে সরকারি বিভিন্ন দফতর, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৈঠকের পর নতুন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল বিরুনি ঘোষণা দেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে।

তবে ২৪ ঘণ্টার বদলে তিনদিন পার হলেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। গত কয়েকদিনের মতো ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি। নিম্ন মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী জসিম বলেন, সহসা পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে না। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের এ দাম থাকবে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের তৎপরতার কারণে পেঁয়াজের দাম না কমলেও নতুন করে বাড়েনি। সরকার তৎপর না হলে দেখতেন এতো দিনে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যেত।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯)