বিনোদন প্রতিবেদক : চিত্রনায়িকা মাহীকে চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছে ঢাকার চলচ্চিত্রে হঠাৎ করে উদিত হওয়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। সেখানকার ছবি দিয়েই তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত তিনি ধরে রাখতে পারেননি। উচ্চ মূল্যের পারিশ্রমিক দাবি করে তিনি ক্যারিয়ার খোয়াবার পথে রয়েছেন। তারপরও এসব সাতপাঁচ না ভেবে পরিচিতির কারণে কিছু নির্মাতা তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করছেন এবং নিজগুণেই কোনো কোনো নির্মাতা সফলও হচ্ছেন। তার সর্বশেষ উদাহরণ মাহমুদ হাসান শিকদারের ‘অবতার’। 

ছবিটি যে ক’টি সিনেমা হল পেয়েছে বর্তমান বাজারে বলতে গেলে তা যৎসামান্যই। কিন্তু কোনো সৃষ্টির গুণগত মান যদি মানদণ্ডের মধ্যে থাকে তার কদর হবেই। এই ছবিতে মাহী ভালো অভিনয়ও করেছেন। দর্শক পছন্দের তালিকায় মাহীর নাম যত নম্বরেই হোক না কেন তাকে বর্তমান তারকা সংকটের বাজারে প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর বুকিং এজেন্ট বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাকে চলচ্চিত্র শিল্প থেকে ‘নাই’ করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। অবতার ছবিটির প্রদর্শকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তারা যেন মাহীর অবতার ছবিটি প্রদর্শন না করেন। কি কারণ? কারণ অবতার ছবিটিকে যদি কোনোভাবে ব্লক করা যায় তাহলে তারা বলতে পারবেন মাহীর ছবি চলে না। এর মধ্যে সংশ্লিষ্টদের একটা ভবিষ্যত পরিকল্পনাও রয়েছে।

সেই পরিকল্পনায় স্থান পেয়েছে কিছু নতুন তারকা, যাদের তারা নিজেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে গড়ে তুলতে চান এবং দর্শকের কাছে অপরিহার্য করে তুলতে চান। প্রশ্ন হচ্ছে, দর্শক কি সত্যিই কোনো তারকার ব্যাপারে আজকাল মাথা ঘামান? দর্শক প্রতিনিয়ত ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, ইনফ্লিক্সেসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিত্য নতুন বা অপিরিচিত তারকাদের দেখে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছেন। এজন্য দর্শক এখন ছবিতে কে আছে তার তোয়াক্কা করে না। তারা দেখতে চান সুন্দর একটি গল্প, নতুন ধরনের উপস্থাপনাসহ ভালো লাগার মতো কাজ। অবতার ছবিটি দর্শকের ভালো লাগার কারণ হলো এটাই। ছবিটির নির্মাণশৈলী চমৎকার।

এছাড়া বিএমজি, ভিএফএক্স, এসএফএক্স, পরিমিত সংলাপ এবং কালার কারেকশনে প্রযুক্তির ব্যবহার দৃষ্টিনন্দন। প্রযুক্তি সব নির্মাতাই ব্যবহার করেন। কিন্তু এর মধ্যে কদাচিৎই পরিমিতিবোধ থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন তারকার বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, তিনি যদি ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে তার একটা ফল তিনি পাবেনই।

(এম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯)