ঢাবি প্রতিনিধি : নতুন নিয়মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। লিখিত পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের চাহিদার চেয়ে অনেক কম হওয়ায় প্রশ্নের উত্তর করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্নে পদার্থ বিজ্ঞান লিখিত অংশে একটি প্রশ্ন যথাযথভাবে না হওয়ায় তার উত্তর করতে পারেননি অনেকে। উত্তর করতে না পারায় শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ না পাওয়ারও আশঙ্কা করছেন।

এছাড়াও তিনটি পরীক্ষার পর প্রশ্ন দেয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৬-১৭ সেশনের 'গ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নে ভুল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর থেকে পরবর্তী পরীক্ষায় পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন না দেয়ার নিয়ম করে দেয় 'গ' ইউনিট পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। কিন্তু শুক্রবার (২০ তারিখ) অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ক' ইউনিটের পরীক্ষায় প্রশ্ন দেয়ায় সেখানে ভুল পাওয়া যায়। এরপর শনিবার অনুষ্ঠিত 'খ' ইউনিটের পরীক্ষায়ও প্রশ্ন রেখে দেয়।

কিন্তু পরীক্ষার পর এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী প্রশ্ন নিয়ে বের হয়। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমাদের সেন্টারে প্রশ্ন দিয়ে দেয়।

তার ভর্তি পরীক্ষার হল ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ছিল বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।

তবে এ নিয়ে জানতে চাইলে কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা পরীক্ষার প্রশ্ন রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে শিক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন নিয়ে বের হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এবারের 'খ' ইউনিটের পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক অংশে বাংলায় ১৬, ইংরেজিতে ১৬ এবং সাধারণ জ্ঞানে ২৮টি প্রশ্ন করা হয়। লিখিত অংশে বাংলা/এলেক্টিভ ইংরেজিতে ২০ নম্বর এবং ইংরেজি ২০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করতে হয়েছে।

বগুড়া থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, লিখিত অংশে কম সময় থাকার কারণে আমরা সম্পূর্ণ উত্তর করতে পারিনি।

ঢাকার নতুনবাজার এলাকা থেকে আসা তামান্না বলেন, নৈর্ব্যক্তিক অংশ সহজ ছিল। তবে লিখিত কঠিন ছিল। সময়ের অভাবে উত্তর দিতে পারিনি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯)