ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকায় জয়ন্তী সরকার (৩৮) নামের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল আটটার দিকে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জয়ন্তী সরকার প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালার স্ত্রী।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ বছর আগে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাসিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের সুরেন্দ্রনাথ সরকারের মেয়ে জয়ন্তীর সঙ্গে পান্না বালার বিয়ে হয়। সংসারে রাজশ্রী কস্তুরী বালা (১০) নামে তাদের এক মেয়ে রয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি সৈয়দ মহসিন আলী বলেন, এ ঘটনায় জয়ন্তী সরকারের ভাই মনোজ কান্তি সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে পান্না বালাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, যৌতুকের জন্য জয়ন্তী সরকারকে হত্যা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পান্না বালা বলেন, ‘যৌতুক চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বিয়ের সময়ও আমি এ নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আমার পরিবার সব সময় যৌতুকের বিরুদ্ধে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ঘুম থেকে জেগে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেই পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ নামিয়েছে। তারা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরপর ময়নাতদন্ত হয়েছে। সুতরাং পুলিশই সব বলতে পারবে।’
স্ত্রীর আত্মহত্যার কারণ প্রসঙ্গে পান্না বালা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো দাম্পত্য কলহ ছিল না। তবে সে (জয়ন্তী) একটু জেদি প্রকৃতির ছিল। মেয়ে ঠিকমতো লেখাপড়া না করায় সে হতাশ ছিল। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’
মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদেহের থুতনির নিচে অর্ধচন্দ্রাকৃতির হালকা দাগ রয়েছে। এর নিচে গলায় গভীর বৃত্তাকার দাগ রয়েছে। এ ছাড়া হাতের আঙুলগুলো সামান্য নীল ছিল। ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহের নিচে একটি চেয়ার উল্টানো অবস্থায় পাওয়া গেছে।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ০২, ২০১৪)