ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : বিয়ে বাড়ি। সেখানে আজও সানাই বাজার কথা ছিল। কথা ছিল নতুন বউকে নিয়ে আনন্দে মাতার। কিন্তু এ কেমন কথা রাখা হল?

নতুন সংসারে পা রাখের আগেই নববধূকে সাক্ষী হতে হল ১১টি লাশের। যার খানিকটা উপলক্ষ তিনিও। ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে এখন শোকের ছায়া।

গ্রামটিতে যেয়ে দেখা যায়, ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১১জনের দাফনই শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে নিহতের স্বজনরা।

শৈলকূপার ফুলহরি গ্রামে আজ হওয়ার কথা ছিলো তাপসের বৌভাত। বিয়ে পরবর্তী এই অনুষ্ঠান ফেলে রেখে গ্রামবাসী ব্যস্ত আছেন শেষকৃত্য নিয়ে।

কালীগঞ্জ থেকে বরযাত্রী নিয়ে শৈলকূপায় ফেরার পথে শুক্রবার বারোবাজারে সীমান্ত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাণ হারায় এগারো জন। আহত হয়ে অন্তত ৬০ বরযাত্রী।

রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকাকেই দুর্ঘটনার কারণ বলছে যাত্রীরা। দেখা যায়নি কোন সংকেতও। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে স্টেশন মাস্টার ও গেটম্যান। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। সাত দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছে জেলা প্রশাসন।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ০২, ২০১৪)