আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দীর্ঘ পাঁচমাস ধরে উপাচার্য পদ শূন্য রয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। টানা ৩৫দিনের ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই থেকে অভিভাবকহীন হয়ে পরে নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. একেএম মাহবুব হাসান উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করলেও তারও চাকরির মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। ফলে রেজিস্ট্রার পদ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও শিক্ষা কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্য চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভিসি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক লোকমান হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন একজন স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। এ আন্দোলন ছিলো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মুক্তির আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম।

লোকমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীই চায়, বিশ্ববিদ্যালয় যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। সকল শিক্ষার্থী যেন নিজের শিক্ষা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সঠিকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। নতুন উপাচার্যের নিয়োগ ব্যতিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গতিশীলতা সৃষ্টি হবেনা। তাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্যের নিয়োগ অপরিহার্য হয়ে পরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবেন বলে শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করছেন।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯)