মানিক বৈরাগী


ধীরলয়ে আলোক বর্ষ দূরে নিরব অভিমানে চলে গেলো সেই বন্ধন
ঘাসের ডগাও টের পেলো না রাখি বন্ধনের অশ্রুপাত, কুয়াশার টুপটাপ
যৌথ হস্তের ভাগ্যরেখায় যেদিন সন্তর্পণে শনির উদয়কাল চারপাশ
আশপাশ বিভীষণের তোষামোদির বিচরণে মীর জাফর মোস্তাকের আচরণ

কর্ণকুহরে প্রতিনিয়ত মধু মিশ্রিত তোষামোদির মোসাহেবি অতি সম্ভাষণ
মধুমতি কন্যারা ভাবেনি, মনে পড়েনি পিতামহীর কবরে কার কান্নার কথা
খুব হাস্যোজ্জ্বল অভিমানে শুভাশিসে ধীরলয়ে দুর্দিনের ভ্রাতার প্রস্থান
সেই সেদিন থেকে শিকারী ইঁদুর কুটকুট কাটে বিশ্বাসের মুকুট ও আবাস

তারপর ক্রমাগত খসে পড়ে নীতির বৃক্ষ পাতারা- জরায় ভোগে শেকড়,
বাড়ে স্তুতির ষোলোকলা অস্তমিত আশ্চর্য সন্ধ্যার ছলনায়
চারদিক ঘসেটির বংশবদেরা কুরুক্ষেত্রের করে আয়োজন
অবাক চোখের বিস্ময়ে ভেসে ওঠে লালরঙা চাঁদ, চাঁদের মৃয়মাণ আলোর নিচে
সরিসৃপ অন্ধকারে ফণা তুলে আছে অযুত রঙের মায়াবী তরবারির হাত
অলখে হেমবর্ণের আকাশ। আকাশ থেকে বাড়ে দায় দেনা
মধুমতির কন্যাদের রাখিবন্ধন আয়োজনে আর নয় অশ্রুপাত
নয় কোন শনির উদয়
মধুমতী কন্যার এমনি জন্মতিথিতে আকাশের ওপারে আকাশ হতে আর্শী বহে
ভাইহীনা ভগ্নির জয়ধ্বনি বাজুক বিশ্বে
শোণিত বিহীন মঙ্গলের ভাইফোঁটা
উদিত হোক অন্তহীন আবীর সূর্য।