দিনাজপুর প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্র আবারও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভোমত্ব রক্ষায় সেই স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে প্রতিহত করতে ১৯৭১-এর রণাঙ্গনের সৈনিক মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে স্বাধীনতা বিরোধীদের এই দুঃস্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন হবে না। এ লক্ষ্যে আবারও পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবনির্বাচিত কমিটিকে দেয়া এক সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। হুইপ ইকবালুর রহিমের উদ্যোগের এই সম্বর্ধনা দেয়া হয়।

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, দেশের জন্য জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেও মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন সরকারের সময় অবহেলিত, অপমানিত হয়ে এসেছে। কিন্তু জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারই প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা চালু করেছে। চলতি অর্থ বছর থেকে এই ভাতা ৫ হাজার টাকায় বর্ধিত করা হয়েছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।

ইকবালুর রহিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার ঘোষনা দিয়েছেন, ২০৪২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিনত করার ঘোষনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ২০০৮ সালে দেশে দারিদ্রের হার ৫৫ শতাংশ ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সেই দারিদ্রের হার কমিয়ে বর্তমানে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে প্রতিহত করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ জীবন পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। হুইপ ইকবালুর রহিম দিনাজপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিভিন্ন সমস্যা সমধানের আশ্বাস দেন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবন উন্নয়নের জন্য ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষনা দেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ এম আমজাদ হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুল ইসলাম।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক গজনবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডেপুটি কমান্ডার সাইদুর রহমান ও আব্দুল জলিল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, শাহজাহান শাহ প্রমুখ।

এর আগে হুইপ ইকবালুর রহিম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।


(এটি/এটিআর/আগস্ট ০২, ২০১৪)