মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে প্রবাসীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বখাটেদের উৎপাত ও যৌন হয়রানীর ঘটনায় ভুক্তভুগি পরিবারের লোকজনে উপর হামলার গুজব শুনে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে আমিন উল্লাহ (৫৫) নামে এক স্কুল ছাত্রীর চাচা নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ৮নং কনকপুর ইউনিয়নের দামিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , আমিন উল্লার ভাতিজি স্কুল ছাত্রী লিপা আক্তার এর উপর যৌন হয়রানী করার ঘটনায় স্থানীয় বখাটে শাহ আলমের উপর ঐ স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর থেকে স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে নানা ভয়ভীতি দেখাতে থাকে আসামী পক্ষের লোকজন।

এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে আসামী পক্ষের লোকজন স্কুল ছাত্রীর চাচা আমিন উল্লার উপর হামলা চালাতে পারে এমন গুজবে চাচা আমিন উল্লাহ দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে রাস্থায় পড়ে যান, এসময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যান আমিন উল্লাহ। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত আমিন উল্লার মরদেহ ময়না তদন্ত সম্পন্ন ও লাশ হস্তান্তর শেষে দাফন শেষ হয়েছে।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: রতœদীপ চৌধুরী জানান, নিহত আমিন উল্লাহ হার্ডএট্যাকে মারা মারা যেতে পারেন। তিনি বলেন নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান অভিযুক্ত শাহ আলমকে আগেই পুলিশ আটক করেছে, বর্তমানে শাহ আলম জেল হাজতে রয়েছে ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কনকপুর ইউনিয়নের ভাদঁগাও তাহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী লিপা আক্তার (১৬) স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার তাজু মিয়ার ছেলে বখাটে যুবক শাহ আলম হাত ধরে টানাটানি, অশ্লিল কথাবার্তাসহ উত্যক্ত করতো। এঅবস্থায় ঐ স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বখাটে শাহ আলমের অভিবাবকদের কাছে বিচার দিয়েও তাতে কোন কাজ হয়নি।

ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্কুল ছাত্রী তার নিজ ঘরে পড়া অবস্থায় ঐ বখাটে শাহ আলম রুমে প্রবেশ করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে যৌন নিপীড়ন করলে পরবর্তীতে মেয়ের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বখাটে যুবক শাহ আলমকে আটক করে পুলিশে সুপর্দ করেন। এ ঘটনায় ঐদিন বখাটে যুবক শাহ আলমকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা(মামলা নং ৩৯) দায়ের করেন স্কুল ছাত্রীর মা রহিমা বেগম।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯)