টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে আউশনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের একখন্ড খাস জমি প্রভাবশালীদের দ্বারা দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। ফটকের এই জায়গা জবর দখল হয়ে গেলে বিাদ্যালয়ের সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য প্রধান ফটকের জায়গা সংকুচিত হয়ে যাতায়াতের জন্য কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ন  হবে বলেও স্থানীয়রা জানান। 

বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভবিষ্যতে ফটক নির্মাণের জন্য এ জায়গা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী দাবি জানান।

জানা যায়, উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নে মোটের বাজারে ১৯৩৩ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ওই সময় বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে রাস্তার পাশে কোন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলনা। রাস্তার পাশে মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টি তৎকালিন সময়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দিন বদলের সাথে সাথে বাড়তে থাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ের সামনে পূর্ব পাশে খাস জমিতে গড়ে ওঠে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ১/১১’র সময় প্রশাসন খাস জমি থেকে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে আবার তারা আগের মতো ঘর তোলে এবং সম্প্রতি সপ লাইসেন্স করে লিজ আনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একখন্ড জায়গা রয়েছে যা দখল করার পায়তারা করছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আউশনারা মোটের বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, এক সময় বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার পাশের সমস্ত জায়গা খালি ছিল। একপর্যায়ে খালি জায়গায় কয়েক জন ঘর তোলে। খাস জমিতে ঘর তোলার কারনে ১/১১’র সময় ঘরগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল আবার তারা ঘর তুলেছে।

আউশনারা মোটের বাজার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তোতা মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে রাস্তা সংলগ্ন জায়গা লিজ বা দখলের পর যেটুকু জায়গা আছে তা একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে দখলের পায়তারা চলছে, এ খাস জায়গাটুকু বেহাত হলে বিদ্যালয়ের গেইট নির্মাণ করতে সমস্যা হবে। এ জায়গাটুকু বিদ্যালয়ের গেইট নির্মাণের জন্য বিশেষ প্রয়োজন।

মোটের বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাদশা মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে রাস্তা ঘেষা জমিটুকু খাস। যে কারণে ১/১১’র সময় সব দোকানপাট প্রশাসন ভেঙ্গে দিয়েছিল। পরে আবার ঘর বানানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান জানান, এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কয়েকটি দপ্তরে আবেদন করেছি। বিদ্যালয়ের নির্ধারিত জায়গাটুকু কতিপয় ব্যক্তি দখলের পায়তারা করছে। জায়গাটুকু, বেদখল হয়ে গেলে বিদ্যালয়ের একমাত্র প্রবেশ পথে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম খান জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আরকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯)