আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৩৫জন শিক্ষার্থী। এবার তিনটি ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক ৪৯ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।

ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ও ১৯ অক্টোবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক (ভর্তি পরীক্ষা ২০১৯-২০) ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসেন ফয়সাল জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্রমতে, ববি’তে গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল আবেদনের শেষ সময়। টাকা জমাদানের শেষ তারিখ ছিলো ২৬ সেপ্টেম্বর (রাত ১২টা পর্যন্ত)।

সূত্রে আরও জানা গেছে, এ বছর মোট আবেদনের মধ্যে ‘ক’ ইউনিট (বিজ্ঞান অনুষদে) আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৫৬৭ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিবে ৩৬ জন শিক্ষার্থী। ‘খ’ ইউনিটে ১০ হাজার ১০৬টি (প্রতি আসনের বিপরীতে ১৮জন)। ‘গ’ ইউনিটে ছয় হাজার ১২টি (প্রতি আসনের বিপরীতে ২১জন শিক্ষার্থী এবং বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন ১৩ হাজার ২৭১জন শিক্ষার্থী (প্রতি আসনের বিপরীতে ৫১জন)। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর রেকর্ড সংখ্যক আবেদন পড়েছে।

উল্লেখ্য,‘ক’ ইউনিটে আসন সংখ্যা সর্বমোট ৫৮০টি (বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং জীববিজ্ঞান অনুষদ)।‘খ’ ইউনিটে আসন সংখ্যা সর্বমোট ৫৬০টি (কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) এবং ‘গ’ ইউনিটে সর্বমোট আসন সংখ্যা ৩০০টি (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ)। সর্বমোট তিনটি ইউনিটে এক হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী এবার ভর্তি হতে পারবেন।

ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র উত্তোলন করতে পারবেন আজ ১ অক্টোবর থেকে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোন তথ্যের জন্য ভিজিট করুন www.admission.eis.bu.ac.bd)। আগামী ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে মানবিক বিভাগের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। একইদিন বিকাল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ‘গ’ ইউনিট ব্যবসায় বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ১৯ অক্টোবর ‘ক’ ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশাসনে অস্থিরতা

অপরদিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ভিসির পদশূন্য থাকায় এখন চরম অস্থিরতা আর কোন্দল দেখা দিয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় হতাশ।

ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার এসব জটিলতা নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছেন। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে একাডেমিক সভা, অর্থ কমিটির সভা ও সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। অপরদিকে ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকা ট্রেজারার প্রফেসর ড. একেএম মাহবুব হাসানের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ কোটি টাকার অতিরিক্ত বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনতিবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য নিয়োগ দেয়ার দাবি করেছেন সচেতন বরিশালবাসী।

সূত্রমতে, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিত করায় গত ২৬ মার্চ থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। একটানা আন্দোলনের কারণে চলতি বছরের ২৭ মে দায়িত থেকে বিদায় নেন তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক। ফলে ২৮ মে থেকে ভিসির পদশূন্য হয়ে পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯)