বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  কাফনের কাপড় গাছে পেঁচিয়ে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রীণ টাচ’। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শেখ রাসেল মিডিয়া চত্ত্বরে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধন শেষে কাটা গাছ উপাচার্যের নিকট হস্তান্তর করা হয়। উপাচার্যের পক্ষ থেকে কর্তিত গাছ গ্রহণ করেন তার একান্ত সচিব আমিনুর রহমান।

উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র নিকট গাছ কাটার বিচার চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে গাছ কাটাতে হূেল আমার অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমার কোন অনুমতি না নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। কে বা কারা গাছ গাছ কাটার সাথে জড়িত আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সামনে একটি হরিতকি ও একটি কাঠবাদামের গাছ কাটেন। অভিযোগ উঠেছে গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর উপ-পরিচালক মামদুদুর রহমান।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মামদুদুর রহমান বলেন, ‘ড. তুহিন ওয়াদুদ কিছুদিন আগে একজন কৃষিবিদ নিয়ে এসেছিলেন গাছগুলো দেখানোর জন্য। পাশ্ববর্তী অন্যান্য গাছগুলো বাঁচানোর জন্য সেই কৃষিবিদ এই গাছদুটো কাটার পরামর্শ দেন। আমরা লাইব্রেরীর পক্ষ থেকে গাছ কাটার জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেইনি।’

পুরো ক্যাম্পাসে প্রায় ৩৩ হাজার গাছ লাগিয়েছেন ড. তুহিন ওয়াদুদ। গাছগুলোর পরিচর্চার কাজেও তিনি সময় দেন নিয়মিত। ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস এক সময় মরুভূমি ছিল। শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে আমরা গাছ লাগিয়েছি। কারও কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এসব গাছ কাটা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং পরিবেশ আইন অনুযায়ী গাছ কর্তনকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

(এম/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০১৯)