জামালপুর প্রতিনিধি : মসজিদে পড়তে গিয়ে ধর্ষিত হলো ৫ বছরের শিশু। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক মনির হোসেন (৪০) মসজিদেই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠে। ৩ সন্তানের জনক মনির হোসেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ভাংগার গ্রামের শুক্কুর আলীর পুত্র।

শিশুটি এখন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখনো ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি। ব্লিডিং চলছে শিশুটির। এ ঘটনায় থানায়ও কোনো মামলা হয়নি। থানায় অভিযোগ দেওয়ার আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাকেরুজ্জামান রাখালের কাছে গেলে তিনি বলেছেন, আগে চিকিৎসা করাও, মামলা-টামলা পরে, এমনটাই জানিয়েছেন শিশুটির পরিবারের লোকজন।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ভাংগার গ্রাম জামে মসজিদে ঘটেছে ঘটনাটি।

বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ভাটির পাড়া গ্রামের শিশু হামজা শেখের পিতা শামসুদ্দিন ও মা স্বপ্না বেগম গার্মেন্টস কর্মী। থাকেন ঢাকায়। স্বপ্না বেগমের খালা তৃষ্ণা আক্তারের কাছে থেকেই ওই মসজিদে পড়ত শিশুটি।

বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী তৃষ্ণা আক্তার পিবিএ’কে জানান, প্রতিদিনের মতো সকাল ৯টায় ভাংগার গ্রাম জামে মসজিদে পড়তে যায় হামজা। সেদিন কম ছাত্রছাত্রী ছিল। হামজাকে রেখে অন্য ছাত্রছাত্রীদের মসজিদের পাশেই কামরাঙা ফল কুড়াতে পাঠায় শিক্ষক মনির। এই সুযোগে মসজিদের ভেতরেই শিশু হামজাকে ধর্ষণ করে হামজাকেসহ সবাইকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শিশুটি বাড়িতে এলে গোসল করানোর সময় তার কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে ঘটনাটি বুঝতে পারে তৃষ্ণা আক্তার। ব্লিডিং বাড়তে থাকলে রাত ১টায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে হামজাকে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে শিশুটি বলে, হুজুর আমারে দাদু দাদু বলে কোলে নিছে। আমি ব্যথা পাইছি।

দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মুনিবুর রহমান পিবিএ’কে জানান, শিশুটির পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দেয় নাই। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর সদর থানায় ঘটনাটি জানানো হয়। সদর থানার ওসি সালেমুজ্জানের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে আমরা মনিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

(আরআর/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০১৯)