স্টাফ রিপোর্টার : দেশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে আমরা দুবাই থেকে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। সে ইন্টারপোলের দাগী পলাতক আসামিদের তালিকায় ছিল। জিসানকে দেশে আনতে কাজ শুরু হয়েছে।

তবে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা স্বাক্ষরিত প্রেস নোটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি (ইন্টারপোল) দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

জানা গেছে, জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছে। সেখানে তার নাম বলা হয়েছে আলী আকবর চৌধুরী।

উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের গত এক দশকের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো সে।

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে বলা আছে, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ রয়েছে।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেয় সে। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।

সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে যায় জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পরে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে শামীম ও খালেদকে হত্যা করতে লোক ভাড়া করেছিল জিসান।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৯)