আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সকল উৎসব সকল বাঙালীর। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসেবে আবহমান কাল থেকে সকলে নিজ নিজ ধর্ম পাল করে আসছে। 

বাঙালীর লোকজ ও ধর্মীয় কৃষ্টি-কালচার আজ বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জল করেছে। তাই সর্ববৃহত ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে শারদীয় দুর্গা পূজা জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগৈলঝাড়ায় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দর সাথে বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দর শারদীয় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানিক মুখার্জী কুন্ডু, সহ- সভাপতি সুদাম ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী, প্রচার সম্পাদক গোবিন্দ সাহা, পুজা বিষয়ক সম্পাদক বিষ্ণুপদ মুখার্জী, সদস্য মনা দাস, বরিশাল মহা শশ্মান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার, আগৈলঝাড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন, সহ-সভাপতি এসএম হেমায়েত উদ্দিন, নিত্যানন্দ মজুমদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন বসু, দপ্তর সম্পাদক নিখিল সমদ্দার, সহ-দপ্তর সম্পাদক উজ্ঝল লাহেড়ী, সহ-প্রচার সম্পাদক কেএম আজাদ রহমান, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক তারক চন্দ্র দে, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সকুল, যুবলীগ সভাপতি সাইদুল সরদার, সাধারন সম্পাদক অনিমেষ মন্ডলসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এর আগে জেলা নেতৃবৃন্দ উপজেলা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্ডপ ও বারপাইকা দূর্গা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। মন্ডপ পরিদর্শন শেষে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ গৌরনদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে থানায় সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে পুজার সময়ে আইন শৃংখলার বিষয়ে গ্রহন করা বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সূত্র মতে, বরিশাল বিভাগের মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এবছর ১৫৪টি পুজা মন্ডপে শুক্রবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিন ব্যাপি শারদীয় দূর্গা পুজা শুরু হয়েছে।

পুজায় আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন কঠোর হস্তে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিপুল সংখ্যাক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশসহ পুজা মন্ডপগুলোতে মোতায়েন থাকবে ৯৩২ জন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য। প্রতি মন্ডপে পুলিশ, ২জন করে নারী আনসারসহ পুজার অনুষ্ঠানেরে গুরুত্ব বিবেচনায় ৭-৫-৪ জন করে আসনার দ্বায়িত্ব পালন করবে।

সরকারী বরাদ্দ ও জাতির পিতার ভাগ্নে, বরিশাল-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ব্যক্তিগত অনুদানসহ প্রতিটি পুজা মন্ডপে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৯)