নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রেমিকা ও তার স্নাতক পড়ুয়া খালাতো বোনকে গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনার পর শনিবার এলাকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের দ্রুত আটকের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

প্রেমিক কাওসার আলীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া মডেল একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন প্রেমিকা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর গ্রামের কৈতরপাড়ার গ্রাম প্রধান ইয়াসিন আলী খুন হন। নিহত ইয়াসিন আলী নিকট আত্মীয় হওয়ায় বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে কুলখানির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন ওই কলেজ ছাত্রীরা। এরপর বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় একই এলাকার রহিমানপুর গ্রামের প্রেমিক কাওসারের সঙ্গে।

পরে কাওসার তার ৬/৭ জন বন্ধুসহ তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে পাশের উপজেলা রাজশাহীর বাঘায় ঈদ মেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একই এলাকার বজরাপুর মাঠের একটি আম বাগানের পাহারাদারদের ঘরে নিয়ে তাদের গণধর্ষণ করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দুই কলেজ ছাত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। ঘটনার সময় কাওসারসহ পাঁচজনকে চিনতে পারেন তারা।

মামলার আসামিরা হলেন, রহিমানপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে কাওসার আলী (২০), তার বন্ধু একই গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে কলেজ ছাত্র তারিকুল ইসলাম (২২), সাজেদ আলীর ছেলে সুজন ওরফে রাজিব (২৩), আব্দুল মতিনের ছেলে মানিক (২৩), আবুল কালামের ছেলে কাজল (২২) এর নাম উল্লেখ করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেমিকসহ অন্য অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, অভিযুক্তদের আটক করতে দফায় দফায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

(ওএস/এটিঅার/আগস্ট ০২, ২০১৪)