স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু বিপিএল পেছানোর আভাস দিয়েছেন আয়োজকরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিপিএল ১০ দিন পেছাতে পারে। বিপিএল কেন পেছানো হচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বলেননি আয়োজকরা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে বিপিএলের বিশেষ আসর। ৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল এ টুর্নামেন্টের। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ বিপিএল নিয়ে কোনো আলোচনাই এগোচ্ছিল না।

অবশেষে বৃহস্পতিবার মিরপুরে বৈঠকে বসেছিল বিপিএলের আয়োজকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ বিপিএলের দলগুলোর স্পন্সর হতে আগ্রহ দেখানো চারটি প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। এরপরই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম, জালাল ইউনুস এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল।

মাহমুব আনাম বলেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। একটা বৈঠক শেষ করলাম আজ। বিপিএল ৬ ডিসেম্বর শুরুর কথা থাকলেও তা এক সপ্তাহ বা ১০ দিন পেছাতে পারে। আমাদের হাতে এই অপশনটা আছে।’

কেন বিপিএল পেছাচ্ছে, সুনির্দিষ্ট সেই উত্তর দিতে পারেননি কেউ। তবে শেখ সোহেল বলেছেন, ‘ক্রাইসিস সিচুয়েশন যদি হয় তখন আমরা কিন্তু পেছাই।’ তবে ‘ক্রাইসিস সিচুয়েশন’ বলতে শেখ সোহেল কী বুঝিয়েছেন, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি।

বলার অপেক্ষা রাখে না বিপিএল মানেই নানা বিতর্ক। এবার বিশেষ বিপিএল আয়োজন করলেও নেই কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। গভর্নিং কাউন্সিল সাত দলের স্পন্সরশিপের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেছিল। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বিসিবির আগ্রহ রয়েছে। বাকিদের নিয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে পরবর্তী বৈঠক এবং খেলোয়াড় ড্রাফট কবে হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

মাহবুব আনামের মতে, স্পন্সরশিপ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপিএলে অংশগ্রহণ থাকলেও তাদের কাজের পরিধি সীমিত। দলের স্পন্সরশিপ বাবদ বিসিবিকে তারা অর্থ দেবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সেই অর্থ খরচ করে টিম পরিচালনা করবে, দল সাজাবে। তবে স্পন্সররা নিজ থেকে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে আনতে চাইলে সেই অর্থ তাদেরকেই বহন করতে হবে।

‘তারা দলের মালিক হবে না। তারা শুধু দলের স্পন্সরশিপ দায়িত্বটা পাবে। স্পন্সরশিপ রাইটের সাথে সাথে তারা কী সুবিধা পাবে সেগুলো আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমাদের জাতীয় দলে যেরকম টিম স্পন্সরশিপ আছে, তারা যে স্পন্সরশিপ বেনিফিটগুলো পায় একই বেনিফিট তারাও পাবে। দল গঠনে তাদের সরাসরি কোনো ভূমিকা থাকবে না। পরোক্ষভাবে তারা হয়ত পরামর্শ দিতে পারবে’- বলেছেন মাহবুব আনাম।

উল্লেখ্য, সাত দলের বিপিএলে দল পরিচালনার জন্য থাকবেন একজন করে পরিচালক। বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে যে কোনো সাত পরিচালক দল পরিচালনা করবেন।

আয়োজকরা জানিয়েছে, বিদেশি কোচ, ট্রেনার, ফিজিও নিয়োগ দেবে বিসিবি। আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক কোচ নিয়োগের পক্ষে আয়োজকরা। তাদের এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয় কোচরা দল পরিচালনায় সুযোগ হারাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

‘আমরা প্রতিটি দলে আন্তর্জাতিক কোচ নিয়োগ দেব। অনেকেই কোচ হতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তারা নামও পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি আমরা ফিজিও, ট্রেনার নিয়োগ দেব’- বলেছেন মাহবুব আনাম।

প্রসঙ্গত, বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এর আগে সালাউদ্দিনের হাত ধরে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা। ঢাকা ডায়নামাইটসও একবার শিরোপা পেয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের হাত ধরে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশেষ বিপিএলে অর্থাৎ বড় মঞ্চে কোচিং করানোর সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে স্থানীয় কোচদের।

(ওএস/অ/অক্টোবর ১০, ২০১৯)