আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উপসাগরীয় অঞ্চলের দুই চিরবৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মধ্যস্থতা করতে তেহরান যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী তেহরানে পৌঁছাবেন।

গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে ইরান এবং সৌদি আরবের উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতা করার ঘোষণা দেন ইমরান খান। এই ঘোষণার অংশ হিসেবে রোববার তেহরানে পৌঁছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

এ দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকে উপসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করবেন ইমরান খান। পাশাপাশি বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্ত, দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন এই পাক প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খানের ইরান সফর শনিবার রাতে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে রোববার সকালে তেহরানে যাচ্ছেন তিনি। পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী উপসাগরীয় উত্তেজনা লাঘবের চেষ্টা হিসেবে ইরান সফরে গেলেও সৌদিতে যাচ্ছেন না; তেহরান থেকে রোববারই দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার সৌদি আরব সফর করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রিয়াদ। যে কারণে এই মুহূর্তে সৌদি আরবে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান; তবে আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন তিনি রিয়াদ সফরে যেতে পারেন। আগামী মঙ্গলবার রিয়াদ সফরে যেতে পারেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা প্রচেষ্টা এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে তেহরান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এর আগে, মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসসহ আরো বেশ কিছু গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনুরোধ জানিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান দাবি করেন, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

(ওএস/অ/অক্টোবর ১৩, ২০১৯)