স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েট শেরে বাংলা হলের মো. মনিরুজ্জামান মনির আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়া মামলার আরেক আসামি সামছুল আরেফিন রাফাতের ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং আকাশ হোসেনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান। মনির স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সামছুল আরেফিন রাফাতের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন এবং আকাশকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আসামি মনিরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একই আদালত রাফাতের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আসামি রিফাতকে সেখানে ডেকে নেয়া হয়েছিল। সে মারধরের সঙ্গে জড়িত নয়। ডেকে নেয়ায় তাকে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। সে কোন দলও করে না। তাই পুনরায় রিমান্ডের কোন প্রয়োজন নেই।

শুনানি শেষে আদালত রাফাতের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই আদালত আকাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ৯ অক্টোবর এ তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আবরার হত্যা মামলায় গত বৃহস্পতিবার বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, শুক্রবার বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন এবং শনিবার বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার এবং রোববার ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সদস্য মুজাহিদুর রহমান এবং সোমবার বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।


(ওএস/অ/অক্টোবর ১৫, ২০১৯)