অমল তালুকদার, পাথরঘাটা : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হোসাইনকে বহিস্কার করে বাকিবিল্লাহ জয়কে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ আনন্দ মিছিল বের। অপরদিকে বহিস্কিৃত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইনকে বহিস্কারের প্রতিবাদে কলেজ রোড থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আসার সময় উপজেলার দলীয় কার্যালয়ের সামনে মুখোমুখি হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

শনিবার বেলা ১২ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এঘটনা ঘটে।
এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিদ মক্কি, পৌর সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধু ও ছাত্রলীগ নেতা শাহাজাদাসহ প্রায় ৩০জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়।

এ ঘটনায় আহত সকলকেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শাহাজাদার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়।

গুরুতর আহত শাহাজাদা পাথরঘাটা পৌরশহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা। অন্য আহতরা হলো, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিদ মক্কি, পৌর সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধুসহ প্রায় ২৫জন।

আহত ছাত্রলীগ নেতা শাহাজাদা মুঠোফোনে বলেন, আমরা ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বাকিবিল্লাহ জয়ের জন্য মিছিল বের করলে অপর দিক থেকে আসা বহিস্কৃত এনামুলের মিছিলের মুখোমুখি হলে পুলিশ আমাদের উপরে এলোপাতারী পিটানো শুরু করে। এসময় আমার বাম হাতে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।

পাথরঘাটা থেকে আমাকে বরিশাল পাঠালে এখানকার ডাক্তাররা ঢাকায় যাওয়ার জন্য বলেছে । একজন বহিস্কার করা নেতা কিভাবে মিছিল বের করে, পুলিশ তাদের প্রতিহত না করে উল্টো আমাদের ছাত্রলীগের এলাপাতারী পিটায়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগ থেকে এনামুলকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে, তার পরেও আমাদের কিছু আওয়ামীলীগের নেতারা বহিস্কিৃত নেতার পক্ষ নিয়ে তাকে বাচানোর চেস্টা করছে। তারা দলের দিকে না তাকিয়ে

নিজেদের দিকে তাকাচ্ছে। ছাত্রলীগের উপর পুলিশ যেভাবে হামলা করল; আমার বোধগম্য নয় কিভাবে পুলিশ ছাত্রলীগের উপরে হামলা করে। আমাদের মনে হয় পুলিশ যেন তাদের পক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছে। ছাত্রলীগের নেতাদের পিটিয়ে অফিসে ঢুকিয়ে দেয়ার পরে বহিস্কৃতরা বীরদর্পে মিছিল নিয়ে চলে যায়। তখন পুলিশ তাদের প্রটোকল দিয়ে নিয়ে গেলো। এভাবে একজন বহিস্কৃত নেতাকে পুলিশ প্রটোকল দিবে এটা অত্যান্ত লজ্জা জনক। আমরা আমাদের অভিভাবক উপজেলা আওয়ামীলীগকে জানিয়েছি, তারা সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

(এটি/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০১৯)