শামীম হাসান মিলন, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদে বছরের পর বছর চাকুরি করে সরকারি অর্থ পকেটস্থ করছেন দুই শিক্ষক। শুধু তাই নয়, একজন শরীর চর্চা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে। এই দুই শিক্ষক হলেন শরীর চর্চা শিক্ষিকা মাহফুজা আকতার ও সহকারী মৌলভী মো. খায়রুল আলম। 

দাখিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন। পরে শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ নিয়ে কাজী খায়রুল আলম নামে এমপিওভুক্তি হন। সেই থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন এই কাজী খায়রুল আলম। যদি তিনি কাজী বংশের কেউ নন। এদিকে শরীরচর্চা শিক্ষিকা হিসেবে ১৫/১২/২০১১ ইং তারিখে বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন মহাফুজা আকতার ওরফে বিউটি।

পরবর্তীতে শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ এনে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে যোগদান দেখিয়ে এমপিওভুক্তি হন। অথচ তার নিয়োগের সময় সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে কোন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি এবং তাকে ওই পদে নিয়োগও দেওয়া হয়নি। জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ ও বিএড পাশের ভুয়া সনদ দিয়ে এমপিওভুক্ত হন। সেই থেকে তিনিও সরকারি অর্থ পকেটস্থ করছেন।

ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের দূর্নীতির বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি মাদ্রাসার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন। সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু বলতে পারবো না। জানা গেছে, সহকারী মৌলভী খায়রুল আলম সভাপতির নিকটাত্মীয়। একারণে তিনি মুখ খুলছেন না।

মাদ্রাসার সুপার মওলানা মো. সাইদুল ইসলাম এ বিষয়ে কোন বক্তব্য না দিয়ে বলেন, ‘ওই সময়ের নিয়োগ কমিটিই ভালো বলতে পারবেন। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। আমি এ বিষয়ে কিছুই বলবো না।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মগরেব আলী বলেন, কেউ অভিযোগ দিলে আমি তদন্ত করবো।

তাছাড়া আপনি যখন বললেন, আমি অবশ্যই এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সহকারী মৌলভী মো. খায়রুল ইসলাম ২৪/০৪/২০১১ সালে বরদানগর আব্বাসিয়া

এলাকাবাসী এই দুই শিক্ষকের ভুয়া নিবন্ধনের তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০১৯)