আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজের বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে বিবাদের বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন প্রিন্স হ্যারি। ডিউক অব সাসেক্স বলেছেন, প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে মতবিরোধ চলছে।

ব্রিটিশ অনলাইন টেলিভিশন আইটিভিতে সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্পষ্ট করে হ্যারি বলেন, মতের মিল না হওয়ায় এখন আমরা দুই ভাই ভিন্ন পথে হাঁটছি। তবে আমি সবসময়ই উইলিয়ামের পাশে আছি।

বড় ভাই ‘ডিউক অব ক্যামব্রিজ’ উইলিয়ামকে খুব ভালোবাসেন উল্লেখ করে ডিউক অব সাসেক্স এও বলেন, ভাইদের মধ্যে মতবিরোধ হতেই পারে। কিন্তু দিনশেষে আমরা ভাই।

প্রকাশ্যে প্রিন্স হ্যারির এমন মন্তব্য সাড়া ফেলেছে স্থানীয়সহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নতুন করে সমালোচনায় পড়েছেন হ্যারিবধূ মেগান মার্কেল।

এর আগে বিয়ের পর থেকেই রাজপরিবারের সঙ্গে ডাচেস অব সাসেক্সের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিল একাধিক ব্রিটিশ ম্যাগাজিন।

দুই ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি এবং তাদের স্ত্রী, ছবি: সংগৃহীতবড় ভাইয়ের স্ত্রীর (কেট) সঙ্গে মেগানের মিল ও অমিল বের করা নিয়ে যখন ব্যস্ত ম্যাগাজিনগুলো, ঠিক তখনই যেন বোমা ফাটালেন ডাচেস অব সাসেক্স। সরাসরিই মিডিয়ায় জানালেন, বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাকে যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে। এমনকি মা হওয়ার সময়ও প্রয়োজনীয় মানসিক সমর্থন পাননি তিনি রাজপরিবার থেকে।

এরপর নানাভাবে আলোচনায় আসে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারির সম্পর্ক। উইলিয়াম ও হ্যারির সম্পর্কে ফাটল ধরেছে বলে ধারণা করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। এ বিষয়ে অনেক খবর ছাপানো হলেও এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন দুই ভাই।

২০১৮ সালে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে তাদের সম্পর্ক এখন কেমন যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিউক অব ক্যামব্রিজ বলেছিলেন, আমাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলেও আমরা নিজেরাই তার সমাধান করব। পারিবারিক কলহ কোনো বিষয় নয়।

যদিও বড় ভাইয়ের বিপরীত পথই বেছে নিয়েছিলেন হ্যারি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন, দাতব্য কাজ নিয়ে উইলিয়ামের সঙ্গে আর থাকছেন না তিনি।

বহুবছর ধরেই যৌথভাবে দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তারা। অনেকেই মনে করছেন, হ্যারি ও মেগান এখন আলাদাভাবে দাতব্য সংস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০১৯)