পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, সাদুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি, তার ছেলে আমির হোসেন মিলন, সাগর, রুবেল, হারুন, টিপু সুলতান এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন(গুলিবিদ্ধ)।

আহত চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রোববার রাতে শান্তিপূর্ণভাবে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের গ্রাম কমিটি গঠন করা হচ্ছিল। অনুষ্ঠানে তিনি নিজেই সভাপতিত্ব করছিলেন। সবার সিদ্ধান্তক্রমেই কমিটিতে নাজিম উদ্দিনকে সভাপতি ও ইদ্রিস আলীকে সেক্রেটারী করা হয়। হঠাৎ করেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আওয়াল কবির জয়ের নেতৃত্বে ১৪/১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং বন্দুক দিয়ে গুলি করতে থাকে। তিনিসহ ৭জন গুরুতর হন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আওয়াল কবির জয়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি পাবনা শহরে থাকেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আওয়ামীলীগের একটি গ্রাম কমিটি গঠন করা নিয়ে স্থানীয় দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭/৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। একন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা আহত চেয়ারম্যান কুদ্দুস মুন্সিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান এবং দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

(পিএস/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০১৯)