স্টাফ রিপোর্টার : গ্রাহকদের হয়রানি কমাতে এবং আন্তঃব্যাংকিং চেক লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস (বিএসিএইচ) বা স্বয়ংক্রিয় নিকাশ ঘর হালনাগাদ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ ভারসন আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চালু হবে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সংস্কার করা এ পদ্ধতিতে বিদেশি মুদ্রার চেক ক্লিয়ারিং সুবিধা পাবেন গ্রাহক। আর ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে একই তহবিল দিনে দুইবার স্থানান্তর সম্পন্ন হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট।

ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এ সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদ্যমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষায় বর্তমানে কার্যরত বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজের আপগ্রেডেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। যার কার্যক্রম ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় মুদ্রার চেক ক্লিয়ারিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

নতুন ব্যবস্থায় ইএফটি লেনদেন প্রতিদিন দুটি সেশনে স্থানীয় মুদ্রায় সম্পন্ন করা হবে। যার প্রথমটি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়টি দুপুর ২টা ১ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত পরিচালিত হবে। ডেবিট ও ক্রেডিট লেনদেন পৃথক ফাইলের মাধ্যমে অর্থাৎ একই ফাইলে উভয় প্রকার লেনদেন অন্তর্ভুক্ত না করে উপস্থাপন করতে হবে।

নতুন বিএসিএইচ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ ও ২৬ অক্টোবর (শুক্রবার ও শনিবার) তফসিলি ব্যাংকগুলোর চেক ও ইএফটি প্রসেসিং ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এখন বিএসিএইচের মাধ্যমে ইএফটি লেনদেন আদেশ রাতে সম্পন্ন হয়। আর বিদেশি মুদ্রার চেক ক্লিয়ার ও ইএফটি করার সুবিধাও নেই। বিদেশি মুদ্রার চেক ক্লিয়ার হতে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। নতুন হালনাগাদ বিএসিএইচের মাধ্যমে এক দিনেই বৈদেশিক মুদ্রার চেক নিষ্পত্তি করা যাবে।

জানা যায়, বিএসিএইচ নামের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ২০১০ সালের নভেম্বরে কার্যক্রম শুরু করে। এর ফলে ব্যাংকগুলো একে অপরের চেক জমা ও লেনদেন নিষ্পত্তির সুযোগ পাচ্ছে। প্রথম দিকে এক লাখ বা তার বেশি অঙ্কের টাকার চেকের লেনদেন নিষ্পত্তি হতে কমপক্ষে একদিন সময় লাগত। এখন একদিনেই তা নিষ্পন্ন হয়ে সুবিধাভোগীর ব্যাংক হিসাবে চলে যাচ্ছে।

ইএফটির মাধ্যমে কোনো চেক ছাড়াই অর্থ লেনদেন করা যায়। এতে ইলেকট্রনিক আদেশ দিলেই নির্দিষ্ট দিনে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর হয়ে যায়। এখন বিভিন্ন সরকারি ভাতা, কর্মীদের বেতন, ডিপিএসের টাকা জমাসহ নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পরিশোধ ও জমায় ইএফটি ব্যবহার হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০১৯)